বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোনো একটি ইস্যুতে আটকে থাকতে পারে না।
ভারত থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘন ঘন রাজনৈতিক বিবৃতিতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করার আহ্বান জানান হয়েছে।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাত্রী যাতায়াত কমেছে। বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে ভারতীয় দূতাবাসের বিধিনিষেদের কারণে যাত্রী যাতায়াত কমে অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে।
পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত একমত হয়েছে যে, একে অপরের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তৌহিদ হোসেন এ কথা বলেন।
গত আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকায়, পাসপোর্টগুলো ভারতীয় হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে ছিল।
বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আপৎকালীন এবং চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া আপাতত বাংলাদেশি নাগরিকদের অন্য কোনো ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে দেশটি।
বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকলেও আগস্ট মাসে নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির ৪০০টিরও বেশি ভিসা আবেদন রিভিউ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।